একটি মহা সু-সংবাদ!
বহুত প্রতিক্ষার পর প্রকাশিত হয়েছে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার বিশুদ্ধ তরজমা।
‘তরজমায়ে উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম’ (সূরা ফাহিতা ও সূরা বাক্বারা শরীফের অনুবাদ)
বাজারে বাংলা ভাষায় পবিত্র কুরআন শরীফের অনেক তরজমাই পাওয়া যায়। তবে আদব ও বিশুদ্ধতার দিক থেকে ‘তরজমায়ে উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম’ একক এবং অতুলনীয়।
তাই গাফলতী না করে আপনার কপি আজই সংগ্রহ করুন।
📍 যোগাযোগ:
মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ (বিক্রয় কেন্দ্র)
রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা–১২১৭
📞 হাতিফ: 01710-320412
আফসানা আপার বাসায় একবার পুরুষ আনজুমানের ব্যবস্থা করা হয়। তখন তিনি উনার আহালকে জিজ্ঞাসা করেন, কত জন মানুষ আসবে? উনার আহাল বলেন, ২৫/৩০ জনের মত। তাই তিনি ২৫/৩০ জনের পরিমাণ অনুযায়ী খাবার রান্না করেন। পরে দেখা গেল, আনজুমানে ৩০ জনেরও বেশী মানুষ এসেছে। যখন তিনি দেখলেন অনেক মানুষ এসেছে, তখন তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার উসীলা মুবারক দিয়ে খাবার বাড়তে শুরু করলেন। খুব অবাক করা বিষয় যে, তিনি যখন অর্ধেক হাড়ি খাবার বাড়লেন তখনই ৩০টি প্লেট বাড়া সম্পন্ন হয়ে গেল। এরপর সেই খাবারে এত বরকত হয় যে, আনজুমান শেষে উনাদের পরিবারের সবাই সেই ৩০ জনের জন্য রান্না করা খাবার থেকে খেয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি হচ্ছেন দাতা আর বন্টন করেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং সেই ধারাবাহিকতায় উনার মহাসম্মানিত নায়িব বা ওয়ারিছগণ অর্থাৎ আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারাও বন্টন করে থাকেন। উনারাই হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ রহমত ও বরকত মুবারক উনাদের ধারক বাহক ও বন্টনকারী। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার এমন খাছ একজন ওলীআল্লাহ যে, উনাকে শুধুমাত্র স্মরণ করার দ্বারাই মহান আল্লাহ পাক তিনি নিয়ামত ও বরকত মুবারক দান করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! সুবহানা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আম্মাজান ক্বিবলা আলাইহাস সালাম!
মাতৃভাষায় ইংরেজির অনুপ্রবেশ; মাতৃভাষার অবমাননা
------------------------------------------------------
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন- মাতৃভাষাকে মুহব্বত করা সম্মানিত ঈমান উনার অন্তর্ভুক্ত।
এই সম্মানিত হাদীস শরীফ দ্বারা সুস্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে, সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার মাঝে মাতৃভাষাকে মুহব্বত করার গুরুত্ব কত বেশি!
কিন্তু, খুবই দু:খজনক খবর হচ্ছে- এ ব্যাপারে আমাদের দেশের জনগণ একেবারেই উদাসীন। যার ফলে, এই দেশে, এই সমাজে মাতৃভাষার সাথে ইংরেজি ভাষাকে সংমিশ্রণ করে প্রতিনিয়ত-ই মাতৃভাষাকে অবমাননা করা হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ।
নতুন প্রজন্ম স্বীয় মাতৃভাষায় অনর্গল কথা বলতে একেবারেই অক্ষম হয়ে যাচ্ছে। এই কঠিন পরিণতির পেছনে দায়ী ব্রিটিশ বেনিয়াদের সুক্ষ্ম ষড়যন্ত্র! ভাষাগত গোলামীতে এই জাতীকে রূপান্তর করতে তারা এখন অনেকটাই সফল!
এই পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। মাতৃভাষার সাথে ভিনদেশী ভাষাকে গুলিয়ে ফেলার ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থার পাঠ্যসূচিতে কাফিরদের সবধরনের ষড়যন্ত্র নিয়ে বিশেষ অধ্যায় সংযুক্ত করতে হবে। সর্বপরি, ইংরেজি ভাষাকে মাতৃভাষার সাথে যে বা যারা সংমিশ্রণ করার কাজে মদদ দিয়ে যাচ্ছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
এর কোনো বিকল্প নেই!
- মুহম্মদ মাসউদুর রহমান ফাহীম
এই ইহুদীরাই বণী ইসরাইলের ৭০ হাজার হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে বিনা কারণে অন্যায়ভাবে শহীদ করেছে। যা তাদের চরম অবাধ্যতা, নাফরমানী ও সীমালঙ্গনের বহিঃপ্রকাশ।
এ সম্পর্কে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَضُرِبَتْ عَلَيْهِمُ الذِّلَّةُ وَالْمَسْكَنَةُ وَبَاءُوا بِغَضَبٍ مِنَ اللَّهِ ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ كَانُوا يَكْفُرُونَ بِآيَاتِ اللَّهِ وَيَقْتُلُونَ النَّبِيِّينَ بِغَيْرِ الْحَقِّ ذَلِكَ بِمَا عَصَوْا وَكَانُوا يَعْتَدُونَ
অর্থ: তাদের উপর আপতিত হলো লাঞ্ছনা ও দারিদ্রতা এবং তারা অর্জন করলো মহান আল্লাহ পাক উনার গযব বা অসন্তুষ্টি। এটা একারণে যে, তারা মহান আল্লাহ পাক উনার নিদর্শন মুবারকসমূহ অবিশ্বাস করেছিলো এবং বিনা কারণে অন্যায়ভাবে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে শহীদ করেছিল। এটা এজন্য যে, তারা নাফরমানী করেছিলো এবং সীমালঙ্ঘন করেছিলো। (পবিত্র সূরা বাক্বারা : আয়াত শরীফ ৬১)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন,
لَقَدْ سَمِعَ اللَّهُ قَوْلَ الَّذِينَ قَالُوا إِنَّ اللَّهَ فَقِيرٌ وَنَحْنُ أَغْنِيَاءُ سَنَكْتُبُ مَا قَالُوا وَقَتْلَهُمُ الْأَنْبِيَاءَ بِغَيْرِ حَقٍّ وَنَقُولُ ذُوقُوا عَذَابَ الْحَرِيقِ
অর্থ: অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের কথা শুনেছেন যারা বলে, ‘নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি ফকীর আর আমরা ধনী।’ না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! শীঘ্রই আমরা লিপিবদ্ধ করব অর্থাৎ লিপিবদ্ধ করেছি তারা যা বলেছে এবং অন্যায়ভাবে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে তারা শহীদ করেছে। আর (পরকালে তাদেরকে) আমি বলবো- তোমরা প্রজ্জলিত অগ্নির শাস্তির স্বাদ গ্রহণ করো। (পবিত্র সূরা আল ইমরান : আয়াত শরীফ ১৮১)
ইহুদীরা সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার বিরুদ্ধে নানা এলোমেলো কথা বলেছে। না‘ঊযুবিল্লাহ!
যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَقَالَتِ الْيَهُودُ يَدُ اللَّهِ مَغْلُولَةٌ غُلَّتْ أَيْدِيهِمْ وَلُعِنُوا بِمَا قَالُوا بَلْ يَدَاهُ مَبْسُوطَتَانِ
অর্থ: ইহুদীরা বলে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাত মুবারক বন্ধ অর্থাৎ তিনি কৃপণ। না‘ঊযুবিল্লাহ! তাদের হাতই বন্ধ অর্থাৎ তারাই কৃপণ এবং এসব কথা বলার কারণে তারা লা’নত প্রাপ্ত হয়েছে। বরং মহান আল্লাহ পাক উনার উভয় কুদরতী হাত মুবারকই উন্মুক্ত অর্থাৎ তিনি অত্যন্ত দানশীল। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা মায়িদাহ্ : আয়াত শরীফ ৬৪)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حضرت أَبِي هُرَيْرَةَ رضى الله تعالى عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا خَلَا يَهُودِيٌّ قَطُّ بِمُسْلِمٍ إِلَّا هَمَّ بِقَتْلِهِ
অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখনই কোনো ইহুদী কোনো মুসলমানকে একাকী পায়, তখনই সে উনাকে শহীদ করতে চায়। নাঊযুবিল্লাহ! (দায়লামী শরীফ, ইবনে কাছীর, আল ফাতহুল কাবীর ইত্যাদি)