প্রয়োজনে ছুরি এবং চাকু দিয়ে খাবার কেটে খাওয়াও মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক
=====================
পানাহারে চাকু, ছুরি, চামচ ইত্যাদির ব্যবহার:

ছুরি/চাকু বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। যেমন: গোশত, মাছ, ফলমূল, সবজিসহ ইত্যাদি খাবার কাঁটার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অনেকের হয়তো জানা নেই যে, ছুরি বা চাকু ব্যবহার করাও খাছ সুন্নত মুবারক। অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং নিজেই মহাসম্মানিত আহার মুবারক করার ক্ষেত্রে ছুরি/চাকু ব্যবহার করেছেন।

হাতে পানাহার করা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ সুন্নত মুবারক। তবে পানাহারে চাকু, ছুরি, চামচ ইত্যাদি ব্যবহার করতে কোন সমস্যা নেই। অবশ্য সেটা খাবারের কাজে ব্যবহৃত ছুরি ও চামচ হওয়া উত্তম। খাবারের ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন, খাদ্যের সংরক্ষণ এবং লোকমা ছোট করার ক্ষেত্রে এগুলো যদি কার্যকর হয় তাহলে তা দিয়ে পানাহার করা মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার খিলাফ হবেনা।

এক্ষেত্রে এগুলোও হাতের স্থলাভিষিক্ত এবং হাতের সহযোগী হিসেবে গন্য হবে। এমনকি পানাহারের সময় কাঁটা চামচ কিংবা চাকুর সহযোগিতা নেয়াও মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেও খাবারের সময় চাকু বা ছুরি ব্যবহার করেছেন।

এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে -

عن حَضْرَتْ بن شِهَابٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قال أخبرني جَعْفَرُ بن عَمْرِو بن أُمَيَّةَ رضي الله عنه أَنَّ أَبَاهُ عَمْرَو بن أُمَيَّةَ رضي الله عنه أخبره أَنَّهُ رَأَى رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَحْتَزُّ من كَتِفِ شَاةٍ في يَدِهِ فَدُعِيَ إلى الصَّلَاةِ فَأَلْقَاهَا وَالسِّكِّينَ التي كان يَحْتَزُّ بها ثُمَّ قام فَصَلَّى ولم يَتَوَضَّأْ.

অর্থ: হযরত ইবনে শিহাব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত জা‘ফর ইবনে ‘আমর ইবনে উমাইয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সূত্রে বর্ণনা করেন, উনার পিতা ‘আমর ইবন উমাইয়াহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখেছেন যে, তিনি বকরীর কাঁধ থেকে গোশত ছাড়িয়ে মহাসম্মানিত নূরুল মাগফিরাত মুবারকে (মহাসম্মানিত হাত মুবারকে) নিচ্ছেন। যখন উনাকে পবিত্র নামাযে মহাসম্মানিত আহবান মুবারক করা হলো তখন তিনি তা রেখে দিলেন এবং ঐ ছুরিটিও রেখে দিলেন যা দিয়ে তিনি গোশত ছাড়াচ্ছিলেন। তারপর নতুনভাবে উযূ না করেই তিনি গিয়ে পবিত্র নামায পড়লেন। (বুখারী শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ নং: ২০৮, মুসলিম শরীফ, ছহীহ ইবনু হিব্বান শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ নং:১১৪১, তিরমিযী শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ নং:১৮৩৬, ইবনু মাজাহ শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ নং: ৪৯০, আবূ দাঊদ শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ নং: ১৮৭, মুয়াত্তা মালিক শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ নং:৭১, মুসনাদে আহমাদ শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ নং:১৭৬১৮, আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ নং: ১০৫৭৬)

উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছুরি/চাকু দ্বারা মহাসম্মানিত আহার মুবারক করার জন্য গোশ্ত ছাড়াচ্ছিলেন। অতএব চাকু, ছুরি ইত্যাদি খাওয়ার কাজে ব্যবহার করা খাছ সুন্নত মুবারক।

ছুরি/চাকু সংরক্ষণের জন্য যেসব বিষয় লক্ষ্য রাখা আবশ্যক:

১. ব্যবহারের পর সময় নিয়ে ভালোমতো ধুয়ে রাখতে হবে।

২. স্টিলের ছুরি-চামচ দীর্ঘক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন না।

৩. ছুরি-চামচ ধোয়ার পর সুতি কাপড় দিয়ে মুছে রাখুন। না হলে অন্তত পানি ঝরিয়ে নিন। নইলে দাগ পড়তে পারে।

৪. কাঁচা ডিম, মেয়নেজ জাতীয় খাবারে ছুরি-চামচ ব্যবহার করলে সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে রাখুন। কুসুম গরম পানি ব্যবহার করলে ভালো। গন্ধ লেগে থাকবে না।

৫. কাপড় বা জালির ব্যাগে গুছিয়ে রাখুন। নতুবা বাক্সে ভরেও রাখতে পারেন।

৭. সংরক্ষেণের বাক্স বায়ুনিরোধক হওয়া জরুরি। এতে বাতাসে থাকা রাসায়নিকের বিক্রিয়ায় মরিচা পড়বে না।

-আহমদ হুসাইন

সুওয়ালঃ শাহাদাত আঙুল দিয়ে দাঁত মাজা শরীয়ত-সম্মত কি-না? অনেকে বলে নিষিদ্ধ। মহাসম্মানিত নূরুদ দারাজাত মুবারক-এ জানতে বাসনা রাখি।

জাওয়াব মুবারক দিয়েছেনঃ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম

একটি মহা সু-সংবাদ!
বহুত প্রতিক্ষার পর প্রকাশিত হয়েছে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার বিশুদ্ধ তরজমা।
‘তরজমায়ে উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম’ (সূরা ফাহিতা ও সূরা বাক্বারা শরীফের অনুবাদ)
বাজারে বাংলা ভাষায় পবিত্র কুরআন শরীফের অনেক তরজমাই পাওয়া যায়। তবে আদব ও বিশুদ্ধতার দিক থেকে ‘তরজমায়ে উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম’ একক এবং অতুলনীয়।
তাই গাফলতী না করে আপনার কপি আজই সংগ্রহ করুন।
📍 যোগাযোগ:
মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ (বিক্রয় কেন্দ্র)
রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা–১২১৭
📞 হাতিফ: 01710-320412

image

image

আফসানা আপার বাসায় একবার পুরুষ আনজুমানের ব্যবস্থা করা হয়। তখন তিনি উনার আহালকে জিজ্ঞাসা করেন, কত জন মানুষ আসবে? উনার আহাল বলেন, ২৫/৩০ জনের মত। তাই তিনি ২৫/৩০ জনের পরিমাণ অনুযায়ী খাবার রান্না করেন। পরে দেখা গেল, আনজুমানে ৩০ জনেরও বেশী মানুষ এসেছে। যখন তিনি দেখলেন অনেক মানুষ এসেছে, তখন তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার উসীলা মুবারক দিয়ে খাবার বাড়তে শুরু করলেন। খুব অবাক করা বিষয় যে, তিনি যখন অর্ধেক হাড়ি খাবার বাড়লেন তখনই ৩০টি প্লেট বাড়া সম্পন্ন হয়ে গেল। এরপর সেই খাবারে এত বরকত হয় যে, আনজুমান শেষে উনাদের পরিবারের সবাই সেই ৩০ জনের জন্য রান্না করা খাবার থেকে খেয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি হচ্ছেন দাতা আর বন্টন করেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং সেই ধারাবাহিকতায় উনার মহাসম্মানিত নায়িব বা ওয়ারিছগণ অর্থাৎ আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারাও বন্টন করে থাকেন। উনারাই হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ রহমত ও বরকত মুবারক উনাদের ধারক বাহক ও বন্টনকারী। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার এমন খাছ একজন ওলীআল্লাহ যে, উনাকে শুধুমাত্র স্মরণ করার দ্বারাই মহান আল্লাহ পাক তিনি নিয়ামত ও বরকত মুবারক দান করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! সুবহানা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আম্মাজান ক্বিবলা আলাইহাস সালাম!

image

তরজমায়ে উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম -

মাতৃভাষায় ইংরেজির অনুপ্রবেশ; মাতৃভাষার অবমাননা
------------------------------------------------------

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন- মাতৃভাষাকে মুহব্বত করা সম্মানিত ঈমান উনার অন্তর্ভুক্ত।

এই সম্মানিত হাদীস শরীফ দ্বারা সুস্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে, সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার মাঝে মাতৃভাষাকে মুহব্বত করার গুরুত্ব কত বেশি! 

কিন্তু, খুবই দু:খজনক খবর হচ্ছে-  এ ব্যাপারে আমাদের দেশের জনগণ একেবারেই উদাসীন।  যার ফলে, এই দেশে, এই সমাজে মাতৃভাষার সাথে ইংরেজি ভাষাকে সংমিশ্রণ করে প্রতিনিয়ত-ই মাতৃভাষাকে অবমাননা করা হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ।

নতুন প্রজন্ম স্বীয় মাতৃভাষায় অনর্গল কথা বলতে একেবারেই অক্ষম হয়ে যাচ্ছে। এই কঠিন পরিণতির পেছনে দায়ী ব্রিটিশ বেনিয়াদের সুক্ষ্ম ষড়যন্ত্র! ভাষাগত গোলামীতে এই জাতীকে রূপান্তর করতে তারা এখন অনেকটাই সফল!

এই পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। মাতৃভাষার সাথে ভিনদেশী ভাষাকে গুলিয়ে ফেলার ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থার পাঠ্যসূচিতে কাফিরদের সবধরনের ষড়যন্ত্র নিয়ে বিশেষ অধ্যায় সংযুক্ত করতে হবে। সর্বপরি, ইংরেজি ভাষাকে মাতৃভাষার সাথে যে বা যারা সংমিশ্রণ করার কাজে মদদ দিয়ে যাচ্ছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। 

এর কোনো বিকল্প নেই! 

- মুহম্মদ মাসউদুর রহমান ফাহীম 

image

এই ইহুদীরাই বণী ইসরাইলের ৭০ হাজার হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে বিনা কারণে অন্যায়ভাবে শহীদ করেছে। যা তাদের চরম অবাধ্যতা, নাফরমানী ও সীমালঙ্গনের বহিঃপ্রকাশ।

এ সম্পর্কে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

وَضُرِبَتْ عَلَيْهِمُ الذِّلَّةُ وَالْمَسْكَنَةُ وَبَاءُوا بِغَضَبٍ مِنَ اللَّهِ ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ كَانُوا يَكْفُرُونَ بِآيَاتِ اللَّهِ وَيَقْتُلُونَ النَّبِيِّينَ بِغَيْرِ الْحَقِّ ذَلِكَ بِمَا عَصَوْا وَكَانُوا يَعْتَدُونَ

অর্থ: তাদের উপর আপতিত হলো লাঞ্ছনা ও দারিদ্রতা এবং তারা অর্জন করলো মহান আল্লাহ পাক উনার গযব বা অসন্তুষ্টি। এটা একারণে যে, তারা মহান আল্লাহ পাক উনার নিদর্শন মুবারকসমূহ অবিশ্বাস করেছিলো এবং বিনা কারণে অন্যায়ভাবে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে শহীদ করেছিল। এটা এজন্য যে, তারা নাফরমানী করেছিলো এবং সীমালঙ্ঘন করেছিলো। (পবিত্র সূরা বাক্বারা : আয়াত শরীফ ৬১)

মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন,

لَقَدْ سَمِعَ اللَّهُ قَوْلَ الَّذِينَ قَالُوا إِنَّ اللَّهَ فَقِيرٌ وَنَحْنُ أَغْنِيَاءُ سَنَكْتُبُ مَا قَالُوا وَقَتْلَهُمُ الْأَنْبِيَاءَ بِغَيْرِ حَقٍّ وَنَقُولُ ذُوقُوا عَذَابَ الْحَرِيقِ

অর্থ: অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের কথা শুনেছেন যারা বলে, ‘নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি ফকীর আর আমরা ধনী।’ না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! শীঘ্রই আমরা লিপিবদ্ধ করব অর্থাৎ লিপিবদ্ধ করেছি তারা যা বলেছে এবং অন্যায়ভাবে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে তারা শহীদ করেছে। আর (পরকালে তাদেরকে) আমি বলবো- তোমরা প্রজ্জলিত অগ্নির শাস্তির স্বাদ গ্রহণ করো। (পবিত্র সূরা আল ইমরান : আয়াত শরীফ ১৮১)

ইহুদীরা সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার বিরুদ্ধে নানা এলোমেলো কথা বলেছে। না‘ঊযুবিল্লাহ!

যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

وَقَالَتِ الْيَهُودُ يَدُ اللَّهِ مَغْلُولَةٌ غُلَّتْ أَيْدِيهِمْ وَلُعِنُوا بِمَا قَالُوا بَلْ يَدَاهُ مَبْسُوطَتَانِ

অর্থ: ইহুদীরা বলে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাত মুবারক বন্ধ অর্থাৎ তিনি কৃপণ। না‘ঊযুবিল্লাহ! তাদের হাতই বন্ধ অর্থাৎ তারাই কৃপণ এবং এসব কথা বলার কারণে তারা লা’নত প্রাপ্ত হয়েছে। বরং মহান আল্লাহ পাক উনার উভয় কুদরতী হাত মুবারকই উন্মুক্ত অর্থাৎ তিনি অত্যন্ত দানশীল। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা মায়িদাহ্ : আয়াত শরীফ ৬৪)